সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০১১, ১৮ আশ্বিন ১৪১৮
পাওয়ার ফ্যাক্টর চার্জ বাতিল দাবিতে ব্যবসায়ীরা রাজপথে
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ওপর পাওয়ার ফ্যাক্টর চার্জ আরোপের প্রতিবাদে রবিবার পুরনো ঢাকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মালিক এবং ব্যবসায়ীরা রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সরকার সম্প্রতি ৫০ কিলোওয়াটের নিচে বিদু্যত ব্যবহারকারী ৰুদ্র ও কুটির শিল্পের ওপর বিভিন্ন রেঞ্জে পাওয়ার ফ্যাক্টর চার্জ আরোপ করেছে। এ লৰ্যে ৰুদ্র শিল্পগুলোতে পাওয়ার ফ্যাক্টর শুদ্ধকরণ সরঞ্জাম স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিদ্যুত বিল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সরঞ্জাম স্থাপনের জন্য অতিরিক্ত বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ পস্নাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক এ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের নেতৃত্বদানকারী বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এই বিৰোভ প্রদর্শন করা হয়। লালবাগ এলাকার ৰদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা ইসলামবাগ ঈদগাঁহ মাঠে সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি পুরনো ঢাকার বিভিন্ন অলিগলি পেরিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। লালবাগ এলাকার বিভিন্ন এ্যাসোসিয়েশন ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দেন। সমাবেশে বক্তারা লালবাগ এলাকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ওপর থেকে অনতিবিলম্বে পাওয়ার ফ্যাক্টর চার্জ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
উলেস্নখ্য, সরকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ওপর পাওয়ার ফ্যাক্টর চার্জ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ডিপিডিসির তরফ থেকে বিগত ৩০ জুনের মধ্যে পাওয়ার ফ্যাক্টর শুদ্ধকরণ সরাঞ্জম স্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, পাওয়ার ফ্যাক্টর শুদ্ধকরণ সরঞ্জাম স্থাপন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন (প্রায় ১ লাখ টাকা)। ক্ষুদ্র শিল্প মালিকরা এ বিষয়ে তেমন অবগত নয় এবং তাদের পক্ষে এত টাকা খরচ করে উক্ত সরঞ্জাম স্থাপন করাও সম্ভব নয়।
তাঁরা বলেন, বিদ্যুত সংযোগ নেয়ার সময় এ ধরনের কোন শর্ত তখন ছিল না। তাই বিদ্যমান সংযোগে শুদ্ধকরণ সরঞ্জাম স্থাপনের আদেশও অযৌক্তিক। যারা ইতোমধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানে পিএফআই পস্নান্ট স্থাপন করেছেন সেসব মেশিন ঠিকমতো কাজ করছে না। অথচ ডিপিডিসি কর্মকর্তারা মূল বিলের সঙ্গে অতিরিক্ত অস্বাভাবিক পিএফসি আরোপ করছে। এই বিল পরিশোধ করা ক্ষুদ্র মালিকদের পক্ষে কোনক্রমেই সম্ভব নয়।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর এ ধরনের চার্জ আরোপ করায় দেশের ক্ষদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে। অনেকে কর্ম সংস্থান হারাবে। মালিকরা পথে বসতে বাধ্য হবে। নেতৃবৃন্দ ক্ষুদ্র শিল্প খাতের জন্য বিদ্যমান সংযোগে পি এফ সি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে বলেন, এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যনত্ম কোন শিল্প মালিক বা ব্যবসায়ী বিদু্যত বিল পরিশোধ করবেন না।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পিএফআই প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মোঃ আদেল, বেলায়েত হোসেন মিলন, হাজী মোঃ খোরশেদ আলম, বিপিজিএমইএ'র কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব খাজা আকরাম উলস্নাহ, কার্যনির্বাহী সদস্য রিয়াজ উদ্দিন, সাবেক সদস্য মোঃ শাহজাহান, বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শাহীন আহমেদ, পস্নাস্টিক ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাহী সদস্য হাজী আলী আহমেদ, বিবিধ মালিক সমিতির সভাপতি জনাব মোঃ ইসলাম, পিভিসি পাইপ সমিতির সহসভাপতি সুলতান আহমেদ, পিএফআই প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক জনাব হারম্নন অর রশীদ, বাংলাদেশ পস্নাস্টিক প্যাকেজিং রোল ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকরা অংশগ্রহণ করেন।
|